ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর সমুহ - Sector of Digital Marketing

Sector of digital Marketing


ডিজিটাল মার্কেটিং কি? জেনে নিন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। আপনি পৃথিবীতে বাস করছেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাঝে। সেই হিসেবে আপনার ব্যবসায়ও অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে করতে হবে। আপনি তুলনামুলকভাবে কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে বোঝায়। ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

👉 সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা SEO মূলত একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা, তাহলে আপনার পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পাবে । আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। গুগল তার তথ্য গুলো নিয়মিত আপডেট করে।

👉 কন্টেন্ট রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। যাদের ইংরেজীতে রয়েছে অগাধ দক্ষতা তারাই নিজেদেরকে রাইটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন অনায়াসে। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে বিভিন্ন উদ্দেশে আর্টিকেল লিখা হয়। ব্লগ আর্টিকেল ছাড়াও প্রোডাক্টের রিভিউ, সার্ভিসের সেলস পেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের । মনে রাখবেন, একটি কার্যকর কৌশল আপনার পাঠকদের জন্য তৈরি করবেন এবং তারা আপনার কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে আগ্রহী হবে। একটি ভাল কন্টেন্ট আপনার ব্যবসা ব্র্যান্ডিং জন্য সবচেয়ে ভাল উপায়।

👉 সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের প্রচারের জন্য এর চাইতে ভাল জায়গা, এখনও নাই। একটি এ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করুন। এমনভাবে একটি কমিউনিটি তৈরি করুন যেখানে সকল মেম্বার এ্যাক্টিভ থাকবে। ফেসবুকে কমিউনিটি তৈরি করার জন্য গ্রুপ কিংবা পেজ তৈরি করুন। এমনি করে টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম, গুগল প্লাস কিংবা লিংকেডিনে কমিউনিটি তৈরি করুন। আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহন করতে পারেন। কাউকে ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ কিংবা গ্রুপের লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা কোন ব্লগে পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন। নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে। সেটা একটা রুটিন অনুযায়ী করলে ভাল হয়ে। যেমন, ৩ দিন পর, ১ সপ্তাহ পর। তাহলে নিয়মিত ভিজিটর আসবে নতুন কিছু পাবার আশায়।

👉 ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন
এটি অনেকটা আবার আপনার SEM এর একটি মার্কেটিং ব্যবস্থা। সম্ভাব্য শ্রোতাদের লক্ষ্য করে ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন ফরম্যাটের বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন- এটি টেক্সট, ইমেজ, ব্যানার, সমৃদ্ধ মিডিয়া, ইন্টারেক্টিভ বা ভিডিও বিজ্ঞাপন হতে পারে। আপনার আগ্রহ, বিষয়বস্তু বিষয় বা ক্রয় চক্রের গ্রাহকের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আপনার বার্তা কাস্টমাইজ করতে পারেন।

👉 মোবাইল মার্কেটিং
এসএমএস(SMS) মার্কেটিং, এমএমএস(MMS) মার্কেটিং এর মাধ্যমে মোবাইল মার্কেটিং করা হয়। আর এগুলোর মধ্যে “SMS FOR MOBILE” মার্কেটিং পদ্ধতিটি খুবই গুরুতুপূর্ণ। আপনি ভার্চুয়াল জগৎ এর, ডিজিটাল যুগের মানুষ। আপনার ফেসবুক, টুইটারে অনেক ফলোয়ার থাকতে পারে। তাদেরকে আপনি মেসেজ অথবা টুইট করতে পারেন আপনার keyword গুলো। মেসেজ হবে সংক্ষিপ্ত, to-the–point এ এবং ১৬০ ওয়ার্ডের বেশী নয়। এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি খুবই ফ্লেক্সিবল এবং এটি টাকা তৈরীর টুল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

👉 ইন্টারেক্টিভ মার্কেটিং
আপনার ওয়েবসাইটে কি ধরনের ভিজিটর আসে আর কতজন ভিজিটর আসে তার উপরেই আপনার ওয়েবসাইটের সকল সাফল্য নির্ভর করে। আপনি একটা ভিডিও তৈরি করে সেটা বিভিন্ন ভিডিও সাইটে দিতে পারেন যেমন ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ভিমিও, রেভের ইত্যাদি। এতে আপনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়বে আর অনেক মানুষকে আপনার ওয়েবসাইটে আসতে বাধ্য করবে।

👉 ইমেইল মার্কেটিং
যখন আমি আমার বার্তা গ্রাহকদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পোঁছাবো তখন তাকে আমরা ইমেইল মার্কেটিং বলব। ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার পন্যের এবং সেবার প্রচার করতে করতে পারবেন এবং আপনার সাইটের প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করছে।

👉 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন কোন বিষয় নয় যেখানে আপনি রাতারাতি খুব বেশি কিছু করে ফেলতে পারবেন। এখানে তারাই সফল হবে যারা ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে পারবে।

👉 ওয়েব এনালিটিক্স
আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ওয়েব Analytics। মূলত, ওয়েব এনালিটিক্স সংগ্রহ করা, পরিমাপ, বুঝতে, বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা, রিপোর্ট করা এবং আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েব কার্যক্রম ভবিষ্যদ্বাণী করতে আপনাকে সাহায্য করবে। ওয়েব এনালিটিক্স ওয়েব পরিসংখ্যান সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব এনালিটিক্স হচ্ছে গুগল এনালিটিক্স, স্প্রিং মেট্রিক্স, অপেরা, প্রিন্ট। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে প্রত্যেক বিজ্ঞাপনদাতা তার ব্যবসা বুঝতে ওয়েব এনালিটিক্স ব্যবহার করা হয়।
--
এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে পারেন এবং এর মধ্যে থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন কৌশলটি ব্যবহার করলে বেশি লাভবান হবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গতিশীল মাধ্যম এবং আপনি সবসময় আপানার কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারবেন।

 The writer is an IT professional


Join Our Facebook Group - Entrepreneurship & Business Info